Monday, August 7, 2017

নোমাডিক গার্ডেনের সেীন্দর্য




পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেনের কাছে নোমাডিক কমিউনিটি গার্ডেনটি অনেকের কাছে অজানা।সত্যিই আজব এক জায়গা। প্রাচুর্যে ভরা লন্ডনের চেনারুপের সাথে এর কোন মিল নেই।কাঠের মোটা মোটা তক্তা দিয়ে বানানো চেয়ার , টেবিল,টুল ছড়ানো।ত্রিপল কিংবা বাশের কঞ্চির ছাউনি দিয়ে বানান ‍খুপরি ঘর , যা তৈরি করেছে অাঁকাবাঁকা গলিপথ।তাতে রাখা শৈল্পিক অকেজো গাড়ি।এদিক সেদিক ছড়িয়ে নানা ভঙ্গির চিত্রকর্ম।কেবল চিত্রকর্ম প্রদর্শনেই আছে বিশাল এক দেয়াল।আছে কাঠ, গাড়ির চাকা ও টায়ার দিয়ে তৈরি অদ্ভুত সব ভাস্কর্য।একপাশে শোভা পাচেছ বিশাল একটি নেীকার।শিশুদের খেলার জন্য আছে হাতে তৈরি   বিভিন্ন ধরনের কারুখচিত খেলনা । এমন কোন কাঠ বা দেয়াল নেই যেখানে লাগেনি তুলির শৈল্পিক ছোঁয়া।এসবের এক পাশেই নানা সবজি ও ফুলের চাষ।
শুরুতে মনে হবে অবহেলিত কোন জনপথ। সবকিছু যেন আগোছাল। কিন্তু নিজেদের মত করে মশগুল আমোদী 

মানুষের দিকে চেয়ে দেখলেই সেই ধারনা মুহুর্তেই পাল্টে যাবে।প্রায় বছর তিনেক আগের কথা । রেলের উড়াল সড়কের পাশের েএই জায়গাটি পরিত্যাক্ত ছিল। লন্ডনের নিউক্যাসল নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানী এর মালিক।স্থানীয় কিছু যুবক মিলে জায়গাটিকে শিল্প ও বিনোদনের জন্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেন।অলিভার ও কেইট নামে এক যাযাবর দম্পতি এখানকার ঘরের কাঠামোগুলো তৈরি করেছেন।ইতালিয়ান নকশাকার বানিয়েছেন নকশাগু্যেলা।সেলিম নামে েএকজন বানিয়েছেন একটি অপেরা হাউস যার সামনে নাটক মঞ্চায়নের ব্যবস্থা আছে।নেমাডিক মানেই হল যাযাবর বা অস্থায়ী। তাই কোনকিছুই স্থায়ী নেই এখানে।
মানুষের খোরাক যোগােনোই এখানকার সবকিছু।প্রতিদিন শিল্পীরা এসে এখানে নতুন নতুন চিত্রকর্ম একে দিয়ে যান। এখানকার অলিখিত নিয়ম , আগের আকা চিত্রের চেয়ে নতুনটা ভালো হতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীর উদ্যেগে এখানে চিত্রাঙ্কন , শরীর চর্চা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনোদনের ক্লাশ হয়।রোববার জমে গান বাজনার আসর। লোকজন নিজেদের মত করে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে হাজির হন।

আবার খন্ড খন্ড জমিতে সবজি ও ফুলের চাষ করেন আমপাশের  বাসিন্দারা । শেীখিন এই সবজি চাষীদের বেশির ভাগই বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত।


No comments:

Post a Comment